ই-লানিং প্লাটফর্ম
প্রতিবন্ধিতা
প্রতিবন্ধিতা পরিচিতিঃ
প্রতিবন্ধিতা এবং তার কারণ সম্পর্কে সঠিক ধারণার অভাবে সমাজে নানা ধরণের ভুল বিশ্বাস ও চর্চা প্রচলিত রয়েছে। তাই প্রতিবন্ধী মানুষের অবস্থা ও অবস্থানের পরিবর্তন ও অধিকার সুরক্ষার মাধ্যমে উন্নয়নে মূলস্রোতঃধারায় একীভূত করার জন্য প্রতিবন্ধিতা ও তার কারণ বিষয়ে সঠিক ধারণা প্রদান জরুরী।
উদ্দেশ্যসমূহঃ এ অধিবেশন শেষে অংশগ্রহণকারীগণ
১. প্রতিবন্ধিতা কি তা ব্যাখ্যা করতে পারবেন;
২. প্রতিবন্ধিতার ধরণগুলোর নাম বলতে পারবেন; এবং
৩. প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে কিভাবে যত্ন বা সংযোগ স্থাপন করতে হয় তা উলেখ করতে পরবেন।
অধিবেশনের শুরুতে জিজ্ঞেস করুন অংশগ্রহণকারীরা প্রতিবন্ধিতা বলতে সাধারণভাবে কী বুঝেন?
প্রতিবন্ধিতা কীঃ
প্রতিবন্ধিতা একটি বিকাশমান ধারণা এবং প্রতিবন্ধিতা হলো প্রতিবন্ধী ব্যক্তি এবং তার প্রতি দৃষ্টিভঙ্গিগত ও পরিবেশগত বাধার মধ্যকার আন্তঃসম্পর্কের পরিণতি, যা অন্যান্যদের সাথে সমতার ভিত্তিতে সমাজে পূর্ণ ও কার্যকর অংশগ্রহণে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের বাধাগ্রস্ত করে। আর প্রতিবন্ধী ব্যক্তিবর্গ হলেন তারা, যাদের দীর্ঘ মেয়াদী শারীরিক, মানসিক, বুদ্ধিগত বা ইন্দ্রিয়গত অসুবিধা রয়েছে, যা নানান প্রতিবন্ধকতার সাথে মিলেমিশে সমাজে অন্যান্যদের সাথে সমতার ভিত্তিতে তাদের পূর্ণ ও কার্যকর অংশগ্রহণে বিঘ্ন ঘটায়।
বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী কল্যাণ আইন, ২০০১ অনুযায়ী প্রতিবন্ধিতার সংজ্ঞা“
প্রতিবন্ধী” অর্থ এমন ব্যক্তি যিনি-
ক) জন্মগতভাবে, বা রোগাক্রান্ত হইয়া, বা দূর্ঘটনায় আহত হইয়া, বা অপচিকিৎসায়, বা অন্য কোন কারণে দৈহিকভাবে বিকলাঙ্গ বা মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন; এবং
খ) উক্ত রূপে বৈকল্য বা ভারসাম্যহীনতার ফলে-
(১) স্থায়ীভাবে আংশিক বা সম্পূর্ণ কর্মক্ষমতাহীন; এবং (২) স্বাভাবিক জীবন-যাপনে অক্ষম।
প্রতিবন্ধিতার ধরণঃ
কাজের সুবিধার্থে প্রতিবন্ধিতাকে মূলতঃ চার ভাগে ভাগ করা হয়, যথা-
(১) শারীরিক প্রতিবন্ধিতা;
(২) দৃষ্টি প্রতিবন্ধিতা;
(৩) বাক্ ও শ্রবণ প্রতিবন্ধিতা;
(৪) বুদ্ধি প্রতিবন্ধিতা;
(সবাইকে মাথায় হাত রাখতে বলুন। বলুন, যাদের বুদ্ধি কম থাকে তাদের বলে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী। এবার সবাইর এক হাতে কান ও অপর হাতে মুখে ধরতে বলুন। বলুন যারা কানে শোনে না বা কথা বলতে পারে না তাদের বলে বাক্ ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী। এবার হাত দিয়ে দেখিয়ে বলুন যাদের শরীরে অর্থাৎ হাত, পা, মেরুদন্ডে সমস্যা থাকে তাদের বলে শারীরিক প্রতিবন্ধী। এছাড়া যার একের অধিক প্রতিবন্ধিতা থাকে তাদের বলে বহুমাত্রিক প্রতিবন্ধী।)
- অংশগ্রহণকারীদের জিজ্ঞেস করুন সমাজে ও পরিবারে প্রতিবন্ধী মানুষদের সাথে কী ব্যবহার করা হয় এবং তাদের কী নামে ডাকা হয়?
- (সম্ভাব্য উত্তর হতে পারে- পঙ্গু, বোবা, লেংড়া, কানা, অন্ধ, পাগল ইত্যাদি)
- জিজ্ঞেস করুন নামগুলো ভাল অর্থ না খারাপ অর্থ বহন করে (ইতিবাচক না নেতিবাচক)। তাদের উত্তরগুলো শুনুন।
- বলুন, প্রত্যক মানুষেরই তার নিজের নামে পরিচিত হওয়ার অধিকার রয়েছে এবং প্রতিবন্ধী মানুষদের সাথে ব্যবহারের কিছু নিয়ম আছে। প্রশিক্ষণার্থীরা বিদেশে যে বাড়ীতে চাকুরী করতে যাবেন যেখানে কোন প্রতিবন্ধী মানুষ থাকলে তার প্রতিবন্ধিতার ধরণটি বোঝার চেষ্টা করবেন এবং গৃহকর্তীর কাছ থেকে তার স্পর্শকাতর বিষয়গুলো জেনে নিন।
প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সাথে যে সব আচরণ এর ক্ষেত্রে করণীয়ঃ
- নেতিবাচক নামে ডাকা যাবে না।
- কথা বলার সময় সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।
- প্রতিবন্ধী ব্যক্তি কাজের পরিবেশে বিঘ্ন ঘটালে কোন বিষয়টিতে সে অসাচ্ছন্দবোধ করে সেটি বোঝার চেষ্টা করবেন এবং সেই অনুযায়ী আচরণ করার চেষ্টা করবেন।
- তাকে অনিরাপদ স্থানে একা ফেলে স্থান ত্যাগ করবেন না।
- কোনভাবেই (প্রকাশ্যে বা গোপনে) তাকে শারীরিক বা মানসিক নির্যাতন করা যাবে না।
ফুল ও চারাগাছঃ
ফুল ও চারাগাছ দিয়ে বাড়ি সাজানো শুধু দেখতে ভালো-লাগার জন্য নয় এটা শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্যও অতি প্রয়োজনীয়। তাই সবদেশেই গৃহসজ্জার জন্য প্রাকৃতিক এই উপদানগুলো বেছে নেওয়া হয়। এতে ঘরে সবুজের ছোঁয়াও বিরাজ করে যা চোখের জন্যও উপকারী। কোন কোন ঘরে ফুল ও চারাগাছ ব্যবহার করা হয় তার একটা ধারণা আগেই দেওয়া হয়েছে। যে ভাবে ফুল ও চারাগাছ গৃহসজ্জার কাজে ব্যবহৃত হয় তার সংক্ষিপ্ত বর্ণনা নিচে দেওয়া হলোঃ
- প্রাকৃতিক ফুল দিয়ে ঘর সাজোনো বনসাই
- প্রাকৃতিক শুকনো ফুল দিয়ে সাজানো
- কৃত্রিম ফুল ও চারাগাছ দিয়ে সাজানো
নিয়মিত সতেজ ফুলের প্রাপ্যতার অভাবে ও দীর্ঘস্থায়িত্বের জন্য অনেকে শুকনো ফুল ব্যবহার করে। শুকনো ফুল হলেও নিয়মিত পরিস্কার করতে হবে। সাধারণত শুকনো কাপড় অথবা নরম ব্রাশ দিয়ে পরিস্কার করতে হবে যেন ফুলের অংশবিশেষ ঝরে না পড়ে। হুবহু ফুল ও চারাগাছের মতো দেখতে কৃত্রিম ফুল ও চারাগাছ দিয়ে ঘর সাজানো এখন বহুল প্রচলিত। রক্ষণাবেক্ষণে কম ঝামেলা ও দীর্ঘস্থায়ীত্বের জন্য এর ব্যবহার ব্যাপক। পরিস্কারের জন্য শুকনো কাপড় ব্যবহার করতে হবে। মাঝে মাঝে পরিস্কারক দিয়ে ধুতে হবে।
প্রাকৃতিক চারাগাছঃ প্রাকৃতিক চারাগাছ জীবিত রাখতে বাড়তি যত্ন, সূর্যের আলো ও বাতাস খুবই জরুরী। মাসে একবার অথবাদু’বার অথবা চারাগাছের প্রকৃতি অনুযায়ী আরও বেশিবার গাছগুলো রোদে রাখতে হবে। গাছের জন্য আনুপাতিক হারে পানি ব্যবহার করতে হবে টবের আকৃতি অনুযায়ী। নিয়মিত ছেঁটে ফেলতে হবে গাছের শুকনোপাতা। ডালপালা ছেঁটে পরিস্কার করতে হবে গাছের বৃদ্ধি ও ধরণ অনুযায়ী। চারাগাছে ব্যবহৃত মাটির অথবা পাস্টিকের টব নিয়মিত পরিস্কার করতে হবে। অধিক বয়সী বড় গাছের ক্ষুদ্র আকৃতিকে ‘বনসাই’ বলে যা অনেকে শখের বসে ঘরের মধ্যে রাখে। বনসাই গাছ ঘরের মধ্যে রাখলেও নিয়মিত পরোক্ষভাবে সূর্যের আলো ওবাতাস দরকার। ঘরের বাইরে নেওয়া সম্ভব না হলে বনসাই ও চারাগাছগুলোকে মাঝে মাঝে বারান্দা বা ব্যালকোনিতে রাখতে হবে আলো ও বাতাসের জন্য। আকৃতি অনুযায়ী বনসাই গাছে নিয়মিত কিন্তু খুব অল্প পানি দেওয়া দরকার।
Back